সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিং গেম চেঞ্জার রিশাদের দাপটে ফাইনালে লাহোর কালান্দার্স!



রিশাদ হোসেনকে কেন দলে ফেরাতেই হলো, দলকে ফাইনালে তুলে দিলেন এর প্রমাণ। ব্যাট হাতে যেভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন, বল হাতেও ছিল এর ধারাবাহিকতা। সাকিব ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও বল হাতে দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। তাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে হারিয়ে পিএসএলের ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। [গুগল নিউজে বিডিক্রিকটাইম ফলো করুন]


লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লাহোরের অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি। দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। তবে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে দলের রানের চাকা ছিল সচল।


২৫ বলে ৫০ রান করার পথে নাঈম হাঁকান সাতটি চার ও দুটি ছক্কা। এছাড়া আব্দুল্লাহ শফিক ২৪ বলে ২৫ ও ভানুকা রাজাপক্ষে ১৩ বলে ২২ রান করেন। কুশল পেরেরা দীর্ঘক্ষণ বোলারদের ভুগিয়ে তুলে নেন অর্ধশতক।

৭ বলে ১৫ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন আসিফ আলী। তবে তখন সাকিব আল হাসান বা রিশাদ হোসেনকে ক্রিজে না পাঠিয়ে অধিনায়ক শাহীন আফ্রিদি নিজেই নেমে যান। শেষ ওভারে ৩৫ বলে ৬১ রান করে কুশল সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে নামেন সাকিব। তবে এবারো খুলতে পারেননি রানের খাতা। ২ বল মোকাবেলা করে সাজঘরে ফেরেন শূন্য রাতে। টিমাল মিলসকে সজোরে উড়িয়ে মারলেও বল মাঠের ভেতরেই ছিল।


সাকিব বিদায় নিলে ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকান রিশাদ। পরের বলে অর্থাৎ ইনিংসের শেষ বলেও উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন, তবে সফল হননি। দৌড়ে ২ রান নাওয়ার পক্ষে ছিলেন ২ বল খেলে কোনো রান করতে না পারা শাহীন। আদতে এর সুযোগ ছিল না। রিশাদ ১ রান নিয়ে দৌড় না দেওয়ায় রানআউট হন ২ বলে ৫ রান করে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান দাঁড়ায় লাহোরের সংগ্রহ।


জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইসলামাবাদ। দলীয় ১২ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি সাকিব-রিশাদদের ওপর একপর্যায়ে চড়াও হলেও শেষমেশ খেই হারিয়ে ফেলে। তাতে বড় অবদান ছিল রিশাদেরও। যিনি একাই ৩ উইকেট শিকার করে ইসলামাবাদের জয়ের সব স্বপ্ন পণ্ড করে দেন। প্রতিটি উইকেট ছিল গুরুত্ববহ। সাজঘরে ফেরান পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক সালমান আলী আঘা, সহ-অধিনায়ক শাদাব খান, কিউই তারকা জিমি নিশামকে।


৩ ওভারে ২৭ রান খরচ করে সাকিব ছিলেন উইকেট শূন্য। রিশাদ ৩ উইকেট পান ৩৪রানের খরচায়। তাকে অবশ্য চতুর্থ ওভার করাননি শাহীন। ১৬ রান খরচ করে তিন উইকেট পান সালমান মির্জাও। শেষ উইকেট শিকার করে ৩ উইকেট পান শাহীনও। অবিশ্বাস্যভাবে, তিনি খরচ করেছেন মাত্র ৩ রান। লাহোর জেতে ৯৫ রানে। 


No comments

Powered by Blogger.