২০০.৬৯ স্ট্রাইকরেটে টর্নেডো ইনিংস খেলে ফের নির্বা চকদের নজর কেড়ে যোগ্য জবাব দিলেন সৌম্য



বৃষ্টির কারণে এক ম্যাচ খেলা হওয়ার পরই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল এনসিএল টি-টোয়েন্টি। সিলেটে আবার ফিরেছে টুর্নামেন্টটি। প্রত্যাবর্তনের প্রথম ম্যাচেই সৌম্য সরকার খেললেন বিধ্বংসী ইনিংস। অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন আফিফ হোসেন।


টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে খুলনা বিভাগ। ওপেনার ইমরানুজ্জামান রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন। তাকে শিকার করেন নিহাদুজ্জামান। এনামুল হক বিজয়ও কেবল ৩ বলে ২ রান করে এলবিডব্লিউ হন মেহেরব হাসানের বলে।। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ৯ বলে ৯ রান করে নিহাদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।


মাত্র ১৩ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করেন সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। সৌম্য খেলেন বিধ্বংসী ইনিংস। তবে আফিফ রয়ে-সরে খেলেন। মাত্র ৭২ বলে ১১৭ রানের জুটি আসে সৌম্য-আফিফের ব্যাট থেকে।


৩৪ বলে ৬৩ রান করে থামেন সৌম্য। নাজমুল হোসেন শান্তর বলে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সৌম্যর বিধ্বংসী ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি ছক্কা ও ছয়টি চারে। স্ট্রাইকরেট ছিল ১৮৫.২৯।


সৌম্য আউট হওয়ার পর যেন থমকে যান আফিফ! নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করে পরের ওভারেই আউট হয়ে যান তিনিও। ৪৫ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ। আফিফের ব্যাট থেকে আসে তিনটি করে চার ও ছক্কা।


সৌম্য ও আফিফের বিদায়ের পর আবার শ্লথ হয়ে যায় খুলনার ইনিংস। মেহেদী হাসান মিরাজ ৬ বলে ১০ রান করে নাহিদ রানার বলে আউট হন। দুইটি চার হাঁকান মিরাজ। নাহিদুল ইসলাম ১১ বলে ১৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি।


নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা বিভাগ সংগ্রহ করেছে ৭ উইকেটে ১৭১ রান। রাজশাহীর অধিনায়ক শান্ত তিন ওভারে ২৫ রান দিয়ে একটি উইকেট শিকার করেছেন। নিহাদ নিয়েছেন দুইটি উইকেট।


No comments

Powered by Blogger.