ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ফি*ক্সিং করেছে বাংলাদেশ, বড় অভিযোগে আইসিসির কঠিন শাস্তির মুখে লিটনরা
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছিল অনেকটাই নিয়ম রক্ষার। সেই ম্যাচে টাইগাররা যদি জিততও, এরপরও সুপার ফোরে যেতে হারাতে হতো পাকিস্তানকে। ভারতের কাছে হারের পরও সেই একই সমীকরণ। আর এ কারণে ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা কিছুটা গা ছাড়া ভাব নিয়ে খেলেছে, এমন দাবি পাকিস্তানের সাবেক দুই অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ও শোয়েব মালিকের। তাদের দাবি আইসিসির থেকে তাদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
ট্যাপম্যাডের পোস্ট ম্যাচ এনালাইসিসে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে মিসবাহ বলেন, ‘দল যখন মাঠে নামে জেতার জন্যই নামে। কোনো দল এভাবে ভাবা উচিৎ না যে আজকের ম্যাচ হারলেও অসুবিধা নেই পরের ম্যাচে মনোযোগ রাখি। স্পোর্টসম্যানশিপ স্পিরিট আপনাকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলে। এটা না হলে পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়ে। বিশ্বাস রাখতে হবে আমরা যথেষ্ট ভালো দল তাদের হারানোর মতো। আমার মনে হয়নি এটা বাংলাদেশের ছিল।‘
শোয়েব মালিক আরও কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের। বাংলাদেশ জেতার চেষ্টা করেনি দাবি করে হতাশ প্রকাশ করেন মালিক। তিনি বলেন, ‘ব্যাপারটা এমন, আপনি আপনার সন্তানকে স্পোর্টসে গ্রুমিং করছেন কিন্তু জিততে শেখাচ্ছেন না। শুধু গ্রুমিংই করছেন। আমার পয়েন্ট অব ভিউ থেকে ব্যাপারটা এমনই। শতভাগ দেওয়া মানে কী? শুধু মুখে বললে তো হবে না। শরীর এবং মনেও সেই চেষ্টা থাকতে হবে। পরের ম্যাচের জন্য যদি মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে থাকে, এটা ভুল চিন্তাধারা। এমন হওয়া উচিৎ নয়। সবসময় জয়ের চেষ্টা থাকতে হবে, সেরা কম্বিনেশন নিয়ে খেলতে হবে। ফুল ইনটেনসিটি নিয়ে খেলতে হবে। সেদিক থেকে ব্যাপারটা হতাশাজনক ছিল।‘
জাসপ্রিত বুমরাহর বিপক্ষে টপ অর্ডার ব্যাটারদের নড়বড়ে ব্যাটিংকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলী অনিকের উইকেটকেও দায়ী করছেন মিসবাহ। তার ভাষায়, ‘ওপেনাররা কি দেখল না বুমরাহর আউট সুইং হচ্ছে? দুজনেরই সমস্যা আছে। দুজনই যদিও ওপেনার হিসেবেই খেলে। সাইফ ভালো করছে ব্যাপারটা ভালো। আরেক সমস্যা হচ্ছে জাকের ভালো না করায়। সেদিন জাকের হৃদয় ম্যাচ জেতাল। এবার জাকেরও ভালো করতে পারেনি।‘
পাকিস্তানের আরেক সাবেক ক্রিকেটার বাজিদ খান বাংলাদেশের একাদশে এত পরিবর্তন দেখে দ্বিধায় পড়ে গেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশ কেমন হতে পারে, যেন ভেবেই পাচ্ছেন না তিনি।
বাজিদ বলেন, ‘ভারতের স্পিনাররা বেশ ভালো। বাংলাদেশিরা স্ট্রাইক রোটেশন করতে পারছিল না তাই স্পিনারদের বিরুদ্ধে বড় শট খেলছিল। ফ্রিলি খেলার সুযোগ ছিল না। হৃদয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো খেললেই এই ম্যাচে দ্রুত আউট হয়ে গেছে। দেখার বিষয় আজ কোন দল খেলায়। লিটন তাসকিন ফিট থাকলে হয়ত খেলবে। মেহেদীও আসতে পারে। ইমন ভালোই খেলেছে। তানজিদ খেলাবে নাকি ইমনকে এটা ভাবতে হবে। আবার মেহেদী আসলে রিশাদ হয়ত বাদ পড়তে পারে। এত কনফিউশন… আমি কনফিউজড।‘
No comments